ফোলা ফোলা লুচি , কুমড়ো আলুর তরকারি ছিল প্রয়াত অভিনেতা তাপস পালের প্রিয় খাবার

18th February 2020 হুগলী
ফোলা ফোলা লুচি , কুমড়ো আলুর তরকারি ছিল প্রয়াত  অভিনেতা তাপস পালের প্রিয় খাবার


অত‍্যন্ত ভালো স্বভাবের ছিল তাপস পাল । ছোটো থেকেই পাড়ার মাঠে খেলা , পুকুরে সাঁতার কাটা সবেতেই অন‍্যদের সাথে হৈ হুল্লোড়ে মেতে থাকতেন তিনি । এমনটাই বলছেন চন্দননগরের বাসিন্দা বাল‍্যবন্ধুরা  ।  তাপস পাল ছিলেন শান্ত স্বভাবের । বন্ধুরা রাজনীতি করলেও কোনদিন ই রাজনীতিতে আসেনি । এমনকি ভোট দিতেও যেত না । সেই তাপস চক্বরে পড়ে রাজনীতিতে এসে শেষ হয়ে গেল বলে আক্ষেপ বন্ধুদের । 

বাড়ির সকলের সাথে মেলামেশা করতো । খেতে ভালোবাসতো ফোলা ফোলা লুচি , কুমড়ো আলুর তরকারি । বিকেলে মোঘলাই পরোটা । বিগত ৫ বছর ধরে চন্দননগরের বাড়িতে কাজ করতেন রেবা রায় । ধারাপাড়া ছুতোরগলির বাসিন্দা । তিনি ই জানালেন তাপস পালের ইচ্ছার কথা ।  খোকা বলে মা ডাকতেন তাপসবাবুকে ।  রাজনীতিতে এসেই স্লিপ অফ টাং বিতর্কিত কথা বলে তাপস সমালোচিত । কিন্তু ওর মতো ছেলে আজকের দিনে পাওয়া মুশকিল বলছেন বন্ধুরাই ।  রাজনীতিতে যোগ দেওয়াই তাপসের জীবনের বড় ভুল বলছেন চন্দননগরের মানুষ । তাপস পালের বাড়ি নিঃস্তব্দে সব স্মৃতি বহণ করছে । 

ছবি : চন্দননগরে তাপস পালের বাড়ি 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।