অত্যন্ত ভালো স্বভাবের ছিল তাপস পাল । ছোটো থেকেই পাড়ার মাঠে খেলা , পুকুরে সাঁতার কাটা সবেতেই অন্যদের সাথে হৈ হুল্লোড়ে মেতে থাকতেন তিনি । এমনটাই বলছেন চন্দননগরের বাসিন্দা বাল্যবন্ধুরা । তাপস পাল ছিলেন শান্ত স্বভাবের । বন্ধুরা রাজনীতি করলেও কোনদিন ই রাজনীতিতে আসেনি । এমনকি ভোট দিতেও যেত না । সেই তাপস চক্বরে পড়ে রাজনীতিতে এসে শেষ হয়ে গেল বলে আক্ষেপ বন্ধুদের ।
বাড়ির সকলের সাথে মেলামেশা করতো । খেতে ভালোবাসতো ফোলা ফোলা লুচি , কুমড়ো আলুর তরকারি । বিকেলে মোঘলাই পরোটা । বিগত ৫ বছর ধরে চন্দননগরের বাড়িতে কাজ করতেন রেবা রায় । ধারাপাড়া ছুতোরগলির বাসিন্দা । তিনি ই জানালেন তাপস পালের ইচ্ছার কথা । খোকা বলে মা ডাকতেন তাপসবাবুকে । রাজনীতিতে এসেই স্লিপ অফ টাং বিতর্কিত কথা বলে তাপস সমালোচিত । কিন্তু ওর মতো ছেলে আজকের দিনে পাওয়া মুশকিল বলছেন বন্ধুরাই । রাজনীতিতে যোগ দেওয়াই তাপসের জীবনের বড় ভুল বলছেন চন্দননগরের মানুষ । তাপস পালের বাড়ি নিঃস্তব্দে সব স্মৃতি বহণ করছে ।
ছবি : চন্দননগরে তাপস পালের বাড়ি